
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মাধ্যমে দেশের গার্মেন্টস সেক্টর ধ্বংস করার জন্য চক্রান্ত করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌ-মন্ত্রী শাজাহান খান।
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের আয়োজনে শ্রমিক কনভেনশনে তিনি এ সব কথা বলেন।
শাজাহান খান বলেন, জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিলে গার্মেন্টস সেক্টর সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে। এ জন্য জঙ্গিরা বিদেশিদের হত্যা করছে, যাতে এই সেক্টর ধ্বংসের সম্মুখীন হয়। শ্রমিকরা এখন গ্রহণ যোগ্য মজুরি পাচ্ছে, শ্রমিক আন্দোলন ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে হয় না। নিয়মতান্ত্রিক ভাবে আন্দোলন করতে হয়।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া জঙ্গিদের সাথে আছে, তিনি জাতীয় অইক্যের ডাক দিয়ে কাউকে পাননি, কিন্তু প্রধান মন্ত্রীরর ডাকে সবাই অইক্য বদ্ধ হয়েছে।
একই আলোচনা সভায় বে-সামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, শ্রমিকদের দাবি গুল সমাধান না করতে পারলে জঙ্গিবাদে তাদের অইক্য সাধন সম্ভব নয়। জঙ্গিবাদ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তাদের (জঙ্গিদের) মানবাধিকারের প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া বলেছেন জঙ্গিদের কেনো মেরে ফেলা হচ্ছে, তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলে তো অনেক তথ্য বেড়িয়ে আস্তো, দেশে কি আইন আদালত নেই?? আমি খালেদা জিয়া কে প্রশ্ন করতে চাই আপনারা যখন খমতায় ছিলেন তখন অপারেশন ক্লিন হার্টে যাদের হত্যা করা হয়েছিল তাদের কি মানবাধিকার ছিল না? তারাতো জঙ্গিও ছিল না। তখন কি দেশে আইন ছিল না? ১০ হাজার মানুষককে পঙ্গু করা হয়েছিল।
জঙ্গিবাদ নিয়ে খালেদা জিয়ার বক্তব্য প্রশংগে তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়া যখন এমন প্রশ্ন করেন তখন তার জঙ্গি প্রিতি প্রকাশ পায়। বলছেন জাতীয় অইক্য কিন্তু দেখাচ্ছেন জঙ্গি প্রিতি! তাহলে জাতীয় অইক্য হয় কিভাবে আমরা জানি না। ভাবাদর্শ গত ভাবে আইএস এর সঙ্গে এ দেশের জঙ্গিদের মিল থাকতে পারে কিন্তু দেশে আইএস নেই।
জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন ১১ দফা দাবি ঘোষণা করে। উল্লেখযোগ্য দাবি গুলো হল-
** ৭২ এর সংবিধান পরিপূর্ণভাবে বর্তমানের সংবিধানের সাথে প্রতিস্থাপন করতে হবে। রাষ্ট্র ধর্ম বাতিল ও অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রীক রাষ্ট্রের সপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে।
** আইএলও কনভেনশন ৮৭ ও ৯৮ এর শ্রম আইন বাতিল করা।
** ঠিকাদারি প্রথা, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ ও আউট সোর্সিং প্রথা বাতিল করে আইন ও মানোবিক কারণে প্রাপ্য সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
** শ্রমিক কর্মচারীদের শোভন জীবন ধারণ ও নূন্যতম চাহিদা পূরণের জন্য একটি স্থায়ী মজুরী এবং বেতন কমিশন গঠন করতে হবে।
** বিদেশে কর্মরত শ্রমিকদের কাজ ও মজুরী পেতে প্রতারণা, বৈষম্য ও হয়রাণির স্বীকার না হয় এ জন্য বাংলাদেশের দুতাবাসগুলোকে তৎপর ও উদ্যোগি হতে হবে।
** জঙ্গিবাদ সাম্রাজ্যবাদ প্রতিরোধে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
** জামায়াত সহ সকল প্রকার ধর্মীয় জঙ্গিবাদী দলগুলোর অর্থের উৎস বন্ধ করে তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।
** যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্নসহ জঙ্গিবাদ বিরোধী আইন ২০০৯ সংশোধনী সহ ২০১৩ প্রনীত আইন কার্যকর করতে হবে।