বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় গার্মেন্টস শিল্প ও শ্রম আইন

Image result for গার্মেন্টস শ্রমিকের
ব্যক্তিমালিকানাধীন রপ্তানীমুখী পোশাক শিল্পে যেখানে বর্তমানে প্রায় ৪২ লক্ষ শ্রমিক কাজ করে। এর প্রায় ৮০ শতাংশ নারী শ্রমিক। নারীর জন্য একটি শ্রমনীতি ঘোষিত হয়েছিল ১৯৮০ সালে। অন্তঃসত্তা শ্রমজীবী নারীর অধিকার। ১৯৩৯ এ আইনের আওতায় অন্তঃসত্তা শ্রমিককে সন্তান জন্ম দানের আগে ঠিক সপ্তাহ পরে ছয় সপ্তাহ ছুটি দিতে হবে। শ্রমজীবী মায়েদের অধিকার ১৯৬৫ সালের ফ্যাক্টরী এ্যাক্ট ও ১৯৭৭ সালে:ফ্যাক্টরীজ রুলস্ এর মাধ্যমে কোন মিল ফ্যাক্টরীতে নারী শ্রমিকদের সংখ্যার উপর নির্ভর করে তাদের ছয় বছরের নিচের শিশুদেরকে কর্মস্থলে রাখার সুব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু তার পর ও মাতৃত্বকালীন ছুটির পূর্ণ বেতন দেওয়া হয় না।  
বাংলাদেশ গার্মেন্টস শিল্প দেশের প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান। সরকারের পর সরকারের বদল হলেও এই সম্ভাবনাময় শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের ভাগ্য বদল হয় না। ভাগ্য বিড়ম্বিত শ্রমিকরা জীবন বাস্তবতার বেড়াজালেবন্দী। মোমবাতির আলোর আবছা অন্ধকারের মত জীবন এদের। ভোগের পাল্লায় থাকে মালিক পক্ষ তাই বঞ্চিত শ্রমিকরা বিপস্নবী হয়ে ওঠে তাদের অধিকার ও সংহতি ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য।শ্রমিক আন্দোলনের শুরুর কথা ১৮৮৬ সালের ১ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো নগরীর শ্রমিকরা দৈনিক ৮ ঘন্টা কাজের সময় নির্ধারণ ও মজুরীর দাবিতে সর্বাত্মক আন্দোলন শুরু করে। আমেরিকা ও ইউরোপের সর্বত্রই হতভাগ্য শ্রমিকদের ১২-১৪ ঘন্টা কাজ করাটা ছিল বাধ্যতামূলক। ওভার টাইম, ছুটি ছাটা, স্বাস্থ্য সেবা ও নিরাপদ কর্মসংস্থানের নিয়ম-নীতির বালাই ছিলনা। মালিক পক্ষ যত বেশি সম্ভব শ্রমিকদের দিয়ে খটিয়ে নিত। এ ধরণের জুলুম ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় শ্রমিকরা। শ্রমিকশ্রেণীর প্রবল আন্দোলনের মুখে ১৮৬৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৮ ঘন্টা কাজের সময় নির্ধারণ আইন পাশ হয়। কিন্তু সেই আইন কার্যকর না হওয়ায় শিকাগো শহরের হে মার্কেটের সামনে শ্রমিকরা ১৮৮৬ সালের ১ মে হতে তীব্র আন্দোলনের ডাক দেয়। এ আন্দোলন চুড়ান্ত রূপলাভ করে ৩ ও ৪ মে। প্রথমে ৬ জন ও পরে বোমা বিস্ফোরণে ৪ জন নিহত হয়। শ্রমিকনেতা অগাস্ট সাপাইসের ফাঁসি দেওয়া হয়। আন্দোলনের ফলশ্রম্নতিতে ৮ ঘন্টা শ্রমিক কাজ স্বীকৃত হয়। ১৮৮৯ সালে প্যারিসে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে দিনটিকে মে দিবস হিসাবে পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ১৮৯০ সাল হইতে প্রতিবছর মে দিবস পালন হয়। দেশের সম্ভবনাময় ও বৈদেশিকমুদ্রা অর্জনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান গার্মেন্টস প্রায় দেড়শত বছর আগে আমেরিকার চিত্রের মত মনে হয় বাংলাদেশকে বাড়তি আয়ের জন্য ১২-১৬ ঘন্টা পরিশ্রম করতে হয়। নিয়মিত ভাতা ও বেতন দেওয়া হয় না। কাজের পরিবেশ মানসম্মতও নয়। দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি হলেও শ্রমিকদের বেতন ভাতা বৃদ্ধি হয় না। অথচ শ্রমিকদের জন্য ২০০৬ সালে নূ্যনতম মজুরী নির্ধারিত হয়েছে। বাস্তবচিত্র হল ২০০৬ সালের যে শ্রম আইন করা হয়েছে তাতে শ্রম ঘন্টা ৯-১০ এর বেশি নয়।
বাংলাদেশের শ্রম আইন প্রেক্ষিত বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর (সংশোধিত) আওতায় ফ্যাক্টরী অ্যাক্ট ১৯৬৫ এ মূলত কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ কর্ম পরিবেশন অধিকার নিশ্চিত। পোশাক শিল্পে আধুনিক ও উন্নত মানের আমদানীকারকদের দ্বারা তৈরী হলেও আগুন লেগে শ্রমিকদের মৃত্যু ঘটছে। সুনির্দিষ্ট সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলন হলেও শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনায় না বসে পোশাক শিল্পে সবধরণের ট্রেড ইউনিয়ন কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের যেকোন একতরফা সিদ্ধানত্দের প্রতিবাদে কোন সুযোগ শ্রমিকদের নেই। তাদের স্বার্থ পরিপন্থী যেকোন সিদ্ধান্ত যেমন ছাটাই, যখন তখন চাকুরিচু্যতি, ছাটাই এরপর প্রাপ্যবিল পরিশোধ করে দেওয়া, মৃত্যুকালীন ভাতা, অবসর ভাতা ইত্যাদি নিয়ে কথা বলার ক্ষেত্রে সুযোগ নেই। ফলে ব্যক্তি মালিকারাধীন ইপিজেড এর ও পোশাক কারখানা গুলোতে মানবধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে বার বার। অথচ বাংলাদেশ আইএলও এর ১৮৩ পি কনভেনশন এর ৮ টি কনভেনশন সহ ৩৩ টি কনভেনশন বাংলাদেশ সমর্থন করে, আইএলওর ৮৭ নং কনভেনশনে শ্রমিকদের ট্রেডইউনিয়ন করার অধিকার ৯৮ নং কনভেনশনে যৌথভাবে দরকষাকষির অধিকার দেওয়া হয়েছে এবং ১৯৪৮ সালের সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার ২৩ (ঘ) ধারায়ও শ্রমিকদের ট্রেডইউনিয়ন করার অধিকার স্বীকৃত। আইএলওর সদস্য হিসাবে বাংলাদেশ এই নিয়ম গুলো মানতে বাধ্য। কিন্তু ২৫ জানুয়ারি ২০০৭ এর জরুরী অবস্থার সুযোগে সবধরণের ট্রেডইউনিয়ন বন্ধ রাখা হয়েছে। জানা যায় আইন অনুযায়ী ইপিজেডও ট্রেডইউনিয়ন হওয়ার কথাছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সাধারণ শ্রমিকদের ট্রেডইউনিয়ন গঠন থেকে বিরত রাখতে চাকুরীর ভয় দেখানো সহ নানা ভাবে চাপ দিতে থাকে। এমনকি কোন কোন প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের ভয় দেখিয়ে তারা ট্রেডইউনিয়ন করতে ইচ্ছুক নয় এই মর্তে স্বাক্ষর আদায় করে।
এরপর জরুরী অবস্থার সুযোগে আইনের তোয়াক্কা না করেই কর্তৃপক্ষ নেতাদের অনেককেই ছাটাই করে দেয়। এরপর চলতে থাকে একপাক্ষিক নির্যাতন। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কাজ করানো, মধ্য যুগীয় বর্বরতায়, শারীরিক নির্যাতন। কথায় কথায় চাকুরীচু্যতি করে শ্রমিকদের পিঠে দেয়াল ঠেকানো হয়েছে।
ব্যক্তিমালিকানাধীন রপ্তানীমুখী পোশাক শিল্পে যেখানে বর্তমানে প্রায় ৩৫ লক্ষ শ্রমিক কাজ করে। এর প্রায় ৮০ শতাংশ নারী শ্রমিক। নারীর জন্য একটি শ্রমনীতি ঘোষিত হয়েছিল ১৯৮০ সালে। অন্তঃসত্তা শ্রমজীবী নারীর অধিকার। ১৯৩৯ এ আইনের আওতায় অন্তঃসত্তা শ্রমিককে সন্তান জন্ম দানের আগে ঠিক সপ্তাহ পরে ছয় সপ্তাহ ছুটি দিতে হবে। শ্রমজীবী মায়েদের অধিকার ১৯৬৫ সালের ফ্যাক্টরী এ্যাক্ট ও ১৯৭৭ সালের ফ্যাক্টরীজ রুলস্ এর মাধ্যমে কোন মিল ফ্যাক্টরীতে নারী শ্রমিকদের সংখ্যার উপরনির্ভর করে তাদের ছয় বছরের নিচের শিশুদেরকে কর্মস্থলে রাখার সুব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু তার পর ও মাতৃত্বকালীন ছুটির পূর্ণ বেতন দেওয়া হয় না। অর্থনীতি সমিতির ১৭ তম দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে অর্থনীতিবিদ ডঃ বারকাত ভালোবাসার অর্থনীতি তত্ত্ব নামক এক বিম্ময়কর তত্ত্ব উপস্থাপন করেন। তিনি হিসাব করে দেখিয়েছেন বাংলাদেশের নারীরা ভালোবাসার কাজের অর্থনীতির প্রায় মূল্য ২ লক্ষ ৮৯ হাজার ৬১৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে গ্রাম অঞ্চলের নারীর অংশ ২১ ভাগ। জিডিপিতে এর মূল্যমান যোগ করলে জিডিপি বেড়ে দাঁড়াবে ৭ লক্ষ ১৭ হাজার ১১২ কোটি টাকা। সে হিসাবে অর্থনীতির আয়তন হবে বর্তমান জিডিপির ৫৩ শতাংশ। তিনি তথ্যমূল্য নির্ধারণের ভিত্তি হিসাবে দেখান ১০ বছর তদূর্ধ্ব নারীরা গৃহস্থালী কর্মকান্ডের জন্য বছরে ব্যয় করেন ১৬ হাজার ৬৮১ কোটি শ্রমঘন্টা।
বাংলাদেশের শ্রম আইনের ধারা ঠিকমত প্রয়োগ হচ্ছে না যার ফলে দেখা দিচ্ছে শ্রমিক অসনত্দোষ। শ্রমআইনলিপি শ্রমিক আইনের ১০০ ধারা অনুযায়ী একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির শ্রমঘন্টা ৮।
বাংলাদেশের শ্রম আইনের ধারা ঠিকমত প্রয়োগ হচ্ছে না যার ফলে দেখা দিচ্ছে শ্রমিক অসনত্দোষ। শ্রমআইনলিপি শ্রমিক আইনের ১০০ ধারা অনুযায়ী একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির শ্রমঘন্টা ৮। ১০১ ধারা অনুযায়ী খাবার ও বিশ্রামের জন্য ১ ঘন্টা বিরতি। ১০৩ ধারা মতে গার্মেন্টস শ্রমিক সপ্তাহে একদিন ছুটি পাবেন। ছুটিতে বেতন কাটা যাবে না। শ্রমিক জোট শক্তি কিছুটা হলেও বিস্তার করেছে বাংলাদেশ বিপস্নবী গার্মেন্টস পোশাকশিল্পে, পোশাক শ্রমিক ফেডারেশন, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, গার্মন্টস শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ ও জাতীয় শ্রমিক জোট (বাংলাদেশ) এর দাবী অদক্ষ শিক্ষানবীশ, যা সর্ব মোট সাতটি গ্রেডে মধ্যে, হাজিরা, বোনাস, ওভারটাইম, যাতায়াত ভাড়া, কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করা, রেশনিং চালু, সার্ভিসবুক প্রথা চাল, বাধ্যতামূলক ওভার টাইম প্রত্যাহার। প্রত্যেক শ্রমিককে নিয়োগপত্র দেওয়া। বিলম্বিত মজুরী প্রদান না করা ও নূ্যনতম মজুরী ৫০০০ টাকা। তার বিপরীতে সরকারী সুপারিশ রয়েছে গোল্লা৬৬৫ টাকা।
বর্তমান অবস্থা

অতিসামপ্রতিক কালে পোশাক শিল্পে অব্যাহত শ্রমিক বিক্ষোভ, ভাংচুর, লুটপাট, অগি্নসংযোগ এই অপার সম্ভবনাময় শিল্পেকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এই প্রকট সমস্যার সমাধান করতে না পারলে গার্মেন্টস শিল্প ও সমৃদ্ধশালী ডিজিটালময় বাংলাদেশের উত্তরোত্তর উন্নতি সম্ভব হবে না। ২০০৭ সালে ২৭ এপ্রিল পোশাক শিল্প শ্রকিমদের নূ্যনতম মজুরী ৫০০০ টাকা নির্ধারণের দাবী জানিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। বলা হয়ে থাকে সরকার ও শিল্প উদ্যোক্তারা শ্রমিকদের ব্যাপারে আন্তরিক। কিন্তু বাস্তবে কতটুকু সফল হয়েছে এই শ্রমজীবী মানুষের জীবন। প্রতিশ্রম্নতি আর আশ্বাসের বাণী বালির বাঁধের মতো দেখা দিয়েছে তাদের বিশ্বাসে। পাহাড় জোড়া সমস্যা আর অর্থের সাথে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে বেঁচে আছে এরা। সত্যিই কি এই মানুষগুলো সুন্দরভাবে মৌলিক অধিকার পূর্ণ করতে পেরেছে? পেরেছে কি স্বপ্নের লৰ্যে পৌঁছাতে? কথা বলেছিলাম ২জন গার্মেন্টস কর্মীর সঙ্গে। তাদের একজন মোমেনা। বাড়ি দিনাজপুর। মার সংসারে সেই বড়। ভাইবোন খুব ছোট। বাবা নেই। তার কাছে জিজ্ঞাসা করেছিলাম তার দিনযাপনের কথা। সে বলে- আমাদের মতো গরীব মানুষের গার্মেন্টস ছাড়া আর কী আছে? অল্প বয়সে বিয়ে হয়েছিল। একটা সন্তান হওয়ার পর যৌতুকের চাপে স্বামী-শ্বাশুড়ি নির্যাতন করতো। তাই এক সময় সিদ্ধান্ত নিলাম ঢাকা চলে আসার। সুযোগ সুবিধা পাই কিনা সেটা বড় কথা না, দু মুঠো খেতে পাচ্ছি, বাড়িতে টাকা পাঠাতে পাচ্ছি এটাই বড় কথা। সন্তানকে লেখাপড়া করাতেও পাচ্ছি। তবে জিনিস পত্রের দাম, বাড়ী ভাড়া এসব যেভাবে বাড়ছে সেভাবে বেতন পাই না। অন্য একজন হাফিজা। সে জানায়- আমরা ৫-৬ জন একটা টিনের ঘরে থাকি। ভাড়া বেশি বলে এভাবে কষ্ট করে থাকতে হয়। তাছাড়া গার্মেন্টসে সকাল সাতটায় যেতে হয়। ৮ ঘন্টা কাজ করা কথা থাকলেও টার্গেট পূরণ না করতে পারলে বেশি সময় কাজ করতে হয়। বরিশালে কাজ-কাম নাই। তাই একটু ভালো থাকার জন্য ঢাকাতে এসেছি। কিন্তু অনেক পরিশ্রম করতে হয়। নিজেদের রান্নাবাড়া করে খেতে হয়। আর বেতন বাড়ার শুধু পেপারে দেখি, টিভিতে দেখি কিন্তু বাস্তবে তো দেখি না। জিনিস পত্রের দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে বাড়ীতে পাঠায় কী আর নিজেরাই বা খাবো কী? নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা এসবের বালাই নেই। তাছাড়া যখন-তখন ছাটাও করা হয়।

গার্মেন্টস শিল্পের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলে মনে হয় সমস্যার পাহাড়। উত্তরণের কোন পথ নেই। এখন দরকার দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির দিকে খেয়াল রেখে, মালিক শ্রমিক সম্মিলিত মজুরী নির্ধারণ, শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবী পূরণ। যাতে মালিক পক্ষ ক্ষয়ক্ষতির শিকার না হয়। সার্বিক দিক বিবেচনা করে একটি আইন প্রনয়ণ করতে পারলে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান সম্ভব । 
Poramorsho TV
Poramorsho TV

Previous
Next Post »
Photo-1 Photo-2 Photo-3 Photo-4 Photo-5